বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাস কন্টাক্টর ও স্থানীয়দের মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে ঘটনাটির শুরু হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। ইতোমধ্যে ৪০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে মোহাম্মদ বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির ড্রাইভার শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আকাশের। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট এসে আবারো কন্টাক্টরের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং স্থানীয় দোকানদারদের উপর চড়াও হন।
একপর্যায়ে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া করেন। ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের উপর স্থানীয়রা হামলা করেছে বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে।’
একুশে সংবাদ/জ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :