জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। তাই শিক্ষক সমিতির বিরোধীতা সত্ত্বেও এবারও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইমদাদুল হক।
সোমবার (২০ মার্চ) ইউজিসির সঙ্গে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের এক বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
উপাচার্য ইমদাদুল হক বলেন, আজ ইউজিসিতে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে তাঁরা এবছর আমাদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। যেহেতু আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি এক পরীক্ষার মাধ্যমে হবে তখন সবাইকে একসঙ্গেই আসতে হবে। এখন আমরা আমাদের সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব যেহেতু সরকার-ইউজিসি থেকে গুচ্ছে থাকার নির্দেশনা রয়েছে এবার।
এর আগে গত ১৬ মার্চ বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছে না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি নিজস্ব পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার জন্য দ্রুত কার্যক্রম শুরু করার জন্য উপাচার্য বরাবর চিঠিও দিয়েছে।
আসন্ন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতির নেতারা বলছেন, আগে যেভাবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের উদ্যোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবার থেকে সেভাবে পরীক্ষা নিতে হবে।
দেশে বর্তমানে ৫৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সবগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাবি, রাবি, চবি ও জাবি এবং কয়েকটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অধিকাংশই গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
একুশে সংবাদ.কম/র.দ.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :