ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমের আলোচিত ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আজ জরুরি সিন্ডিকেট ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিকেল চারটায় ভিসির বাসভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
তিনি বলেন, রোববার বিষয়টি নিয়ে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার জরুরি সিন্ডিকেট ডাকা হয়েছে, সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। যারা সরাসরি থাকতে পারবে না তারা অনলাইনে যুক্ত হবে।
এরআগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ২৬ জুলাই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট শুনানীতে এক বছরের বহিষ্কারাদেশকে বাতিল করে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ২৩ আগস্ট আদালতে এ সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠে। ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা তাঁকে নির্যাতন করেন বলে জানায় ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ ও শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট হলে হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় গত ৪ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শৃঙখলা কমিটির সভায় অন্তরাসহ পাঁচ ছাত্রীকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও তাদের সকলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর গত ১২ই জুন অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটি। একইদিনে ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুনকেও ডাকা হয়। এসব বিবেচনা শেষে গত ১৫ জুলাই ছাত্র-শৃঙখলা কমিটির চূড়ান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :