জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সিনেটের ৩৩জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকরা।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ দুপুর দেড়টায় শেষ করার কথা ছিলো। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুপুর পৌঁনে দুইটায় ভোটগ্রহণ চলছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পূর্বনির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ৬০৯টি ভোটের মধ্যে প্রায় ৪৫০ জনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাত্র ১০টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছিলো। ফলে নির্বাচনের ভোটাদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন করায় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, এর আগে স্বাভাবিক ভাবেই আমরা এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। নির্বাচনের দুইটি প্যানেল থেকেই আমাদেরকে ভোট গ্রহণের বুথ বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে পাঁচটি বুথ বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অব্যবস্থাপনার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ প্যানেলের সদস্য সচিব ও পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, আমরা গতকাল নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে অভিহিত করেছি এবার ৬৮ জন প্রার্থী আছে। সবাইকে ভোট দিতে হলে গতানুগতিক দশটি বুথের পরিবর্তে বিশ বুথ স্থাপনের কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের প্রস্তাব বিবেচনাও করেনি। এখন দেখা যাচ্ছে নির্বাচনের নির্ধারিত সময় শেষ কিন্তু এখন দেড় শতাধিক ভোটার এখনো সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছেন।
অব্যবস্থাপনার বিষয়ে শিক্ষক ঐক্য পরিষদ প্যানেলের সদস্য সচিব ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহছান বলেন, এর আগে ভোটাররা উৎসাহ নিয়ে যেভাবে ভোট দিতে আসতো সাম্রতিককালে এখন সেই চর্চাটি নেই। গনতান্ত্রিক চর্চাটা কমে যাওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও অনিহা পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে একটা হতাশা থেকেই এমন অব্যবস্থাপনা।
উল্লেখ, সর্বশেষ নির্বাচন ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এবার দীর্ঘ ৮ বছর পর জাবিতে গনতান্ত্রিক উপায়ে সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :