AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় দেশে দ্বিতীয় জবি


আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় দেশে দ্বিতীয় জবি

বিশ্বব‍্যাপী মর্যাদাপূর্ণ ইনস্টিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আই-ইইই) এক্সট্রিম আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ১৭তম আসরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। বিশ্বের মোট সাত হাজার ৯১টি দল এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে পাঁচটি টিম অংশ নেয়। 

জেএনইউএক্সটিম গ্লোবাল র‍্যাংকিংয়ে ৬০৪তম স্থান অর্জন করে। পাশাপাশি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করে। অংশগ্রহণকারী টিমের সদস্যরা হলেন সিএসই বিভাগের ১৫তম ব্যাচের নিবির জয়ধর,১৬তম ব্যাচের মুয়াম্মার তাজওয়ার আসফি ও একই ব্যাচের মো. ইউসুফ হাসান। 

দেশের সেরাদের মধ্যে জেএনইউটিমজেড চতুর্থ, এআরফায়ার ষষ্ঠ, লোথব্রুকস ২২তম, টেইলএনএরর ২৩তম স্থান অর্জন করে।

দলগুলোর তত্ত্ববধানে ছিলেন সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক এবং ড. সজীব সাহা। 

অংশগ্রহণকারী দলের সদস্য নিবির জয়ধর বলেন, এমন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভালো ফলাফল করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। যারা প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে আমাদের এই সাফল্য অর্জনে সাহায্য করেছেন তাদের ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু অর্জনের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি৷

আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি জবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা ড. সজীব সাহা বলেন, এ প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থীদের সাফল্য অত্যন্ত গর্বের। ৫ টি দল বাংলাদেশে ২য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ, ২২তম এবং ২৩ তম স্থান অধিকার করেছে। তাদের নিষ্ঠা এবং দলগত কাজকে তুলে ধরেছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য অভিনন্দন। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা এবং সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আই-ইইই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের কাউন্সেলর ড. মো. আবু লায়েক বলেন, এ প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থীদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে আমরা আনন্দিত এবং গর্বিত। আমাদের একটি দল বাংলাদেশে দ্বিতীয় এবং বিশ্বব্যাপী ৬০৪তম স্থান অর্জন করেছে। এই অর্জন তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিভা প্রদর্শন করে। আমাদের গর্বিত করার জন্য আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি নতুন উদ্যমে পরিশ্রমের মাধ্যমে আগামী দিনে বৈশ্বিক পরিসরে আরো বড় সাফল্যের আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য বলেন, শিক্ষার্থীদের এই সফলতায় আমরা আনন্দিত। সুযোগ-সুবিধা ও রিসোর্সের অনেক ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও এধরণের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। বিভাগ যতটা সম্ভব সহায়তা প্রদানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করার পাশাপাশি সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. জি এম আল-আমীন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে নানা ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করছে। তার ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে লক্ষ্য শিক্ষা,গবেষণা,চাকরি সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।   

এবার বাংলাদেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, কুয়েট, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। 

এর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২ তম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৬৮২ তম, লিডিং ইউনিভার্সিটি ৮৭৬ তম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস ১২৭৯তম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ২৯৮২তম স্থান অর্জন করে।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আই-ইইই) বিশ্বের ইঞ্জিনিয়ারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন। আই-ইইই এক্সট্রিম একটি বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা যা ইন্সটিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স দ্বারা আয়োজিত। সংগঠনটি ২০০৬ সাল থেকে প্রতিবছর ২৪ ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে জটিল, বাস্তব বিশ্বের সমস্যাগুলির একটি সিরিজ সমাধান করতে বিশ্বজুড়ে প্রতিভাবান ছাত্র এবং তরুণ পেশাদারদের দলকে চ্যালেঞ্জ করে। 

এই মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্টটি শুধুমাত্র অংশগ্রহণকারীদের সমস্যা-সমাধান এবং কোডিং দক্ষতাই পরীক্ষা করে না বরং ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নেতাদের মধ্যে সহযোগিতা, উদ্ভাবন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার মনোভাবকে উৎসাহিত করে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!