ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টায় কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে খাদিজা মুক্তি পান বলে জানান তার বোন সিরাজুম মনিরা। আজ থেকে খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু। চেষ্টা করব যেন এ্যাটেন্ড করা যায়।
২০২০ সালের ১১ অক্টোবর মেজর দেলোয়ার হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক ভিডিওতে সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশ বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।
এজারে বলা হয়, সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর দেলোয়ার তাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজগুলোতে উল্লিখিত ভিডিওগুলো আপলোড করে বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ দুটি মামলা করে। তাতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারার অপরাধে ২০২২ সালে দুই মামলায় আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ।
পরে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মেজর দেলোয়ার এখনও বিদেশে অবস্থান করছেন।
খাদিজার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিনের আদেশ রোববার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে মুক্তি পায়।
মামলার এজারে আরও বলা হয়, তারা তাদের মিথ্যা তথ্যপূর্ণ আলোচনা ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচার করে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে তাদের সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত করার চেষ্টা করছে। তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টার পাশাপাশি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন করছে।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :