তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে মারামারি ও অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আংশিক শুনেছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তবে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর কাছে অস্ত্র আছে প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে মতিহার হলের ক্যান্টিনে খাবার খেতে বসা নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী শান্ত ও ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শান্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামদা নিয়ে জাহিদের ওপর হামলা করেন শান্ত। তখন উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
এ সময় দারোয়ান ও শিক্ষার্থীরা মিলে শান্তর কাছ থেকে রামদা কেড়ে নেন। এ ঘটনার পর জাহিদ তার বিভাগের সহপাঠীদের ডাকলে আরেক দফা উত্তেজনা দেখা দেয়। রাবি পরিবহন মার্কেটে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহার সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাকী। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এরপর সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের সঙ্গে দুই দফায় মতিহার হল ও বঙ্গবন্ধু হলে বসেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। শেষ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি।
এদিকে মারধরের অভিযোগ তুলে বাকী জানান, তার তিন ছোটভাইকে মেরে হল থেকে বের করে দিচ্ছিল। এ খবর জেনে তাদের সঙ্গে পরিবহন মার্কেটে বসেন। তখন ভাস্কর সাহার নেতৃত্বে তার ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনি আহত হন। এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি রাবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা।
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ঘটনাটি সমাধানে উভয় পক্ষের সঙ্গে তিনি বসেছেন। উভয়ের বক্তব্য শুনে সমাধানের চেষ্টা করছেন।
একুশে সংবাদ/বা.নি/না.স
আপনার মতামত লিখুন :