অপহরণের দু`দিন পর শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহনেওয়াজ হল থেকে এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত মেহেদী হাসান রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগীকে মারধর করে ভিডিও ধারণ ও তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্রটি। এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে ঢাবির দুই শিক্ষার্থীসহ বহিরাগত আরো দু`জনের বিরুদ্ধে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলাম বলে জানা গেছে। তাদের সহযোগিতায় ছিলেন অভিযুক্ত জাহিদ শেখের দুজন বহিরাগত বন্ধু আব্দুল কাইয়ুম ও মেহেদী হাসান। ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিম জানিয়েছে জাহিদ শেখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চারুকলা অনুষদের সহ-সম্পাদক।
জানা যায়, লালবাগের বিজিবি-১ নম্বর গেট সংলগ্ন একটি বাড়িতে একা ভাড়া থাকেন মেহেদী। বাড়ির মালিক তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা পেতেন। সেই দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার কয়েকজন মেহেদীর বাসায় যায় এবং রাতভর নির্যাতন চালায়। পরদিন সকালে তাকে তুলে নিয়ে যায় ঢাবির শাহনেওয়াজ হলে। সেখানে ২ দিন ধরে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে তার বাবা-মার কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীর যুক্ত থাকার বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। যদি তারা ঘটনায় যুক্ত থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এই বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, "ভুক্তভোগীর মামা অভিযোগ করেছিল তাকে কেউ আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করছে। তার মামার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তাকে শাহনেওয়াজ হল থেকে উদ্ধার করেছি।"
এদিকে এই ঘটনায় বিষয়ে শুক্রবার রাতেই মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী মেহেদী`র পরিবার। এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/জ.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :