রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা (৫৩) নামে এক অধ্যাপককে পথরোধ করে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীতে মিষ্টিবাড়ি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পরে রাতেই নগরীর মতিহার থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। ভুক্তভোগী সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক।
অভিযুক্তরা হলেন- মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে মো. মিনহাজ আবেদীন (৩৯) এবং মো. মোশাররফ হোসেনের ছেলে মো. মোসাদ্দেক হোসেন রাতুল (২৭)। তাদের উভয়ের বাড়ি রাজশাহী নগরীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মস্থল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজ গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা। অধ্যাপক রেজা রুয়েটের মূল ফটকের বিপরীতে মিষ্টিবাড়ি হোটেলের সামনে পৌঁছালে দুই যুবক গাড়ির সামনে মোটরসাইকেল থামিয়ে গালিগালাজ শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে গাড়ি থেকে বের হতে বাধ্য করেন। গাড়ি থেকে নামার পর এই শিক্ষকের মুখে ও বুকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মেরে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় অধ্যাপক রেজা তাদের পিছু নিলে মোটরসাইকেল থামিয়ে ফের গালিগালাজ করে ওই দুই যুবক। তাদের মোটরসাইকেলের নম্বর দেখতে গেলে একজন পালিয়ে যান এবং অপরজন ফের এই শিক্ষককে মারধর শুরু করে। এ পরিস্থিতিতে উপস্থিত জনতার সহায়তায় সেখান থেকে রক্ষা পান তিনি। চলে যাওয়ার সময় ওই যুবক শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক বলেন, আমার সঙ্গে কেন এমন করেছে আমি জানি না। আমি প্রতিবাদ করতে তাদের গাড়ির পিছু নিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ফের আমাকে মারধর করে। এ ঘটনার পেছনে আসলে কারা আছে, কোনো মৌলবাদী দল যুক্ত আছে কি না, সেটা পুলিশ তদন্ত করে বের করবে। এখানে যারাই জড়িত থাকুক দেশের আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে এটাই আমার চাওয়া।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোবারক পারভেজ বলেন, গতকাল (শুক্রবার) রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষক থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা রাতে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অপরজনকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। কেন তারা এমন কর্মকাণ্ড করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানা তিনি।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহ
আপনার মতামত লিখুন :