কুমিল্লার চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজের এডহক কমিটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছে কলেজের আজীবন দাতা এবং কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ড. রেদোয়ান আহমেদ এর স্ত্রী মমতাজ আহমেদ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ওই সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনে বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হক এর বেঞ্চে রিট আবেদনটি করা হয়।
উচ্চ আদালত এসময় কলেজের নব গঠিত এডহক কমিটিতে দাতা/হিতৈষী সদস্য হিসেবে মো. মনির খন্দকার এবং শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে উত্তম কুমার মজুমদারকে অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ নয় মর্মে রুল জারি করেন।
রিটে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, কলেজ পরিদর্শক, কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মো. শাহজালাল মিঞা এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়।
একই সাথে আদালত আবেদনকারী মমতাজ আহমেদকে দাতা সদস্য হিসেবে এডহক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত একজন শিক্ষককে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সংশোধিত) নীতিমালা ২০১৯ এর ৬নং ধারা অনুযায়ী কলেজ অধ্যক্ষ গত ৯ জানুয়ারি তারিখে দাতা সদস্য হিসেবে মমতাজ আহমেদকে এবং শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত কলেজের প্রভাষক মো. রুহুল আমিনকে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করে দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর একটি কমিটির প্রস্তাব করেছিল। যা গত ২২ জানুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ এডহক কমিটিতে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আবেদনকারীর পক্ষে রিটটি পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট সুমাইয়া ইফরিত বিনতে আহমেদ।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজের আংশিক এডহক কমিটি অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এতে মো. শাহজালাল মিঞাকে সভাপতি এবং মো. আবদুল মমিন সরকারকে বিদ্যাৎসাহী সদস্য করা হয়। পরবর্তীতে ২২ জানুয়ারি দাতা/হিতৈষী সদস্য হিসেবে মো. মনির খন্দকার এবং শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে উত্তম কুমার মজুমদারকে অন্তর্ভুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ এডহক কমিটি অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :