চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পূর্ববিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পুলিশ নিয়ে গিয়ে রাত সোয়া ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এতে কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
ছাত্রলীগের এই দু’গ্রুপ দুটি বিজয় এবং সিক্সটি নাইন নামে পরিচিত। এর মধ্যে বিজয় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সিক্সটি নাইন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। নিজেদের মধ্যে বারবার সংঘর্ষ, ঠিকাদার, কর্মকর্তাদের থেকে চাঁদাবাজি এবং সাংবাদিক মারধরের ঘটনার পর গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর কমিটি বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, বিজয় পক্ষের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় পক্ষে যুক্ত হন। এ নিয়ে সিক্সটি নাইন পক্ষের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ চলছিল।
এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রোববার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইনের কর্মীরা।
পরে বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলের দিকে সিক্সটি নাইন পক্ষের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে এলে কামরুলের সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয়ের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দু’গ্রপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
বিজয় গ্রুপের নেতা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। এখন সিনিয়ররা মিলে সমাধান করার চেষ্টা করছেন।
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, দুই জুনিয়রের মধ্যে ব্যক্তিগত ঝামেলা নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। এটি রাজনৈতিক কোনো ঝামেলা নয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল মুরাদ বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দু’গ্রুপকেই হলে পাঠানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :