বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় এ দাবি নিয়ে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় তারা। পরে তাদের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সাথে সাক্ষাৎ করেন। উপাচার্য আসন্ন সিন্ডিকেটের পরবর্তী সিন্ডিকেটে এ বিষয়টি উত্থাপন করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের দাবি, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক মজুরি হার না মেনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে নামমাত্র বেতন দিচ্ছে। বিধিতে উল্লেখিত জেলা ও উপজেলা এলাকায় শ্রমিকদের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত বেতন নির্ধারিত থাকলেও কর্তৃপক্ষ আমাদের দিচ্ছে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক প্রায় ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের বিষয়টি অতিদ্রুত সমাধানের দাবি জানাই।
এছাড়া থোক ভিত্তিতে নিয়োজিতদের মাসিক টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে গত বছরের ৪ এপ্রিল কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যদের কমিটি করেন উপাচার্য। তবে এ কমিটি প্রায় এক বছর পরেও এখোনো কোনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলে অভিযোগ কর্মচারীদের।
তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ছয় মাস আগে দুইটি মিটিং হয়েছিল। সেখানে তাদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বেতন দেওয়া হবে বলে নির্ধারণ করা হয়েছিল। এটা একপ্রকার চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকেই ছিল। পরে বিষয়টি আর আগায়নি। তবে আহ্বায়ক আবার ডাকলে আমরা বসবো।
এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয় না। স্ব স্ব দপ্তর তাদের দেখে। তারপরও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :