মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে আনন্দঘন দিন হলো ঈদ। মাহে রমজানের সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের নয়া চাঁদ প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়ে বয়ে আনে নির্মল আনন্দের বার্তা। এই আনন্দ বার্তা সবার কাছে পৌছাতে পারলেও দরিদ্র অসহায় মানুষেরা বরাবরের মতোই বঞ্চিত হয়।
ঈদের দিন তাদের কাছে অন্য সকল দিনের মতোই বিষাদময়। জীবন সংগ্রামের কাছে সেই ইদ আনন্দ মলিন হয়ে যায়।
তাদের ঘরে ছড়িয়ে পড়া বিষাদের ছোঁয়া আনন্দে পরিণত করতে প্রথম আলো বন্ধুসভা পবিপ্রবি ইউনিটের সকল সদস্যদের উদ্যোগে ২৪ মার্চ দিনব্যাপি দুমকি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে সুবিধাবঞ্চিত, দুস্থ, গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে নতুন পোশাক ও ঈদের খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়। প্রতিটি পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল ডাল, সয়াবিন তেল, সেমাই, নুডলস, চিনি, গুঁড়া দুধ, পেঁয়াজ রসুন ও আলু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবি বন্ধু সভার সভাপতি আতিক রাহাত রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফারদ্বীন এহসান জিহাদ, সহ-সভাপতি ফারিয়া তাসনিম সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
এসময় কার্যক্রম সম্পর্কে সভাপতি আতিক রাহাত রহমান বলেন, “সহমর্মিতার ইদ এই কার্যক্রমটি বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বেশ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আগামী বছরেও এই ধারা অব্যহত থাকবে।"
সাধারন সম্পাদক ফারদ্বীন এহসান জিহাদ বলেন, “সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কষ্ট অনুধাবন করার মোক্ষম সময় হচ্ছে মাহে রমযান। এতেই রয়েছে প্রকৃত ইদ আনন্দ। পবিপ্রবি বন্ধুসভার এই মহৎ উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয়।”
এছাড়াও সহ-সভাপতি ফারিয়া তাসনিম বলেন, ”প্রথম আলো বন্ধুসভা পবিপ্রবি ইউনিটের সদস্যরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে "সহমর্মিতার ঈদ" এমনই একটি উদ্যোগ যার মাধ্যমে আমজনতার ভেতর ভ্রাতৃত্ববোধের বিস্তার ঘটানো সম্ভব। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পবিপ্রবি প্রথম আলো বন্ধুসভা সর্বোচ্চটা দিয়ে "সহমর্মিতার ঈদ" কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।”
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :