চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) দিতে হবে। এ পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফল হলে ওই শিক্ষার্থী ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
রোববার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এতে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। নতুন যারা ভর্তি হবে, সবাইকে ডোপ টেস্ট দিতে হবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ টেস্ট নিবেন।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ভর্তি শুরু হয়েছে গত ২৮ এপ্রিল। চূড়ান্ত ভর্তি এখনও শুরু হয়নি। কয়েক ধাপে আগামী একমাস পর্যন্ত ভর্তি চলবে।
ডোপ টেস্ট সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব পের বলেন, ‘গাঁজা সেবনের ছয় মাস পর্যন্ত ডোপ টেস্টে শনাক্ত করা যায়। তবে যারা একবার বা দুইবার সেবন করেছেন, তাদের শনাক্ত হয় না। এর বাইরে অ্যালকোহল বা অন্য কোনো মাদকদ্রব্য সেবনের তিনদিন পরে আর ডোপ টেস্টে শনাক্ত করা যায় না।’
২০১৯ সালে পাঁচ ধরনের মাদকদ্রব্য পরীক্ষার জন্য পরিপত্র জারি করেছিল সরকার। এর মধ্যে আছে- বেনজোডায়াজেপিন (ঘুমের ওষুধ), অ্যামফেটামিন (ইয়াবা), অপয়েটস (হেরোইন, মরফিন, কোকেন), ক্যানাবাইনয়েডস (গাঁজা) ও অ্যালকোহল (মদ)। প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করে দু–তিন ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া সম্ভব।
একুশে সংবাদ/ব.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :