ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে এক ছাত্রকে উলঙ্গ করে রাতভর র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত তিন ছাত্রলীগকর্মীকে এক বছরের (২ সেমিস্টার) জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঘটনার সময় উপস্থিত থাকায় অপর দুইজনকে সতর্ক করা হয়েছে। রোববার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক পাঁচটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ২৯মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাগর প্রমাণিক ও মোহাম্মদ উজ্জ্বল এবং একই বর্ষের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুদ্দাসসির খান কাফি। তারা সকলেই শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী। এদিকে শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাসিম আহমেদ মাসুম এবং ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিসনো আল আসনাওয়ীকে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
অফিস আদেশ সূত্রে, সাময়িক বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে কেন চূড়ান্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যদিকে যে দুইজনকে সতর্ক করা হয়েছে তারা ভবিষ্যতে পুনরায় এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত হলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে মর্মে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ^বিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে রাতভর র্যাগিং করা হয়। এসময় ভুক্তভোগীকে লোহার রড দিয়ে পেটানো এবং একপর্যায়ে উলঙ্গ করে পর্ণগ্রাফি দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উভয় কমিটির তদন্তে ঘটনার সত্যতা মেলে। পরবর্তীতে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করে উভয় কমিটি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :