ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগে সেশন জট দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি সেশন জটসহ নানা সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভাগগুলোতে বিভিন্ন দাবি পেশ করেছেন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবয়নের আশ্বাসও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। তবে শিক্ষার্থীদের এসব দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষক ফেইসবুকে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। গতকাল থেকে এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইংরেজি, আইন ও বাংলা বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের সেশন জটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিভাগগুলোর বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট নিরসনে নানা দাবি উত্থাপন করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে দাবি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় দাবিসমূহ যৌক্তিক বিবেচনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন শিক্ষকরা।
তবে শিক্ষার্থীদের এসব দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান ফেইসবুকে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। দাবির বিষয়ে প্রশ্ন তুলে ফেইসবুক পোস্টের এক কমেন্টে তিনি লিখেন, ‘ছাত্ররা বিভিন্ন বিভাগে নানা দাবি নিয়ে চাপ প্রয়োগে শিক্ষকদের স্বাক্ষর নিচ্ছে। এটা কি?’ অন্য আরেক কমেন্টের রিপ্লাইয়ে তিনি লিখেন, ‘ছাত্রদের দাবী নিয়ে তুমিও আন্দোলন করেছ, এখন তার ফল ভোগ করছ। ছাত্রলীগও করেছে, ফল পেয়েছে। এরা যারা নির্দলীয় পরিচয়ে করছে তাদের ফলটা অবশ্য অনিশ্চিত। দলীয় তৎপরতা শুরু হয়েছে, দেখা যাক কোথাকার পানি কোথায় যায়।’
তার এই মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে তারা এ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই শিক্ষককে তার মন্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। বিভাগটির শিক্ষার্থী সেলিম হোসাইন বলেন, ‘এই মন্তব্যের মাধ্যমে উনি ইংরেজি, বাংলা, পরিসংখ্যানসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।’ জুবায়ের আহমেদ শুভ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
তবে এ মন্তব্য নিয়ে ওই অধ্যাপক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ছোট একটা মন্তব্য তোমাদের এত হার্ট করবে বুঝতে পারিনি। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি এবং মন্তব্যটি প্রত্যাহার করছি।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :