ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার জন্য আমি সাত দিনের সময় দিয়েছিলাম। রোববার সেই সময় শেষ হবে৷ রোববারের মধ্যে যদি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা না হয় তাহলে সোমবার থেকে আমার দাবির সমর্থনে আপনারা এখানে আন্দোলন শুরু করবেন। নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আমি ঢাকায় মাঠে থাকবো। আপনারা এখানে মাঠে থাকবেন। বাংলাদেশের একমাত্র জঙ্গী সংগঠন হলো এই ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আগে ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসীদের থেকে মুক্তি পেতে হবে। আগে ছাত্রলীগকে দিয়ে শুরু করি পরে আওয়ামী লীগকে ধরবো।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির করিডোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই মতবিনিময় সভা আয়োজন করে।
সভায় মাহমুদুর রহমান বলেন, এদেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও ভারতীয় হেজিমনির পতন হয়নি। সুতরাং আপনাদেরকে ভারতীয় হেজিমনির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। যতদিন এ দেশে ভারতীয় হেজিমনির পতন না হবে ততদিন বিপ্লব সাধিত হবে না।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর এবং দালাল ছিল মেইনস্ট্রিম মিডিয়া। মনে রাখতে হবে, এই সরকার বিফল হলে আবারো ভারতীয় কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হবে। সুতরাং এ সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি এ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। সরকার যেন বিপদগামী না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
এছাড়া সরকারের সমালোচনা করে সম্পাদক বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত তাদের শক্তি দেখাতে পারেনি। তারা আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অর্থবহ অ্যাকশন নিতে পারেনি। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সে ভারতে বসে আছে। আমি মামলা করার জন্য কুষ্টিয়ায় এসেছি। আমার মামলার ১নং আসামি হাসিনা। মামলার ভিত্তিতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমি দাবি জানাবো।
এসময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার নগর সম্পাদক এম. আব্দুল্লাহ, এবি পার্টির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মেজর আব্দুল ওয়াহাব মিনার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইটসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :