AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

খুবিতে ১৩ তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম


Ekushey Sangbad
পাপড়ি খানম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
০৮:৩৭ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
খুবিতে ১৩ তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মোছাঃ রোকছানা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯০-এর ১১ (১) ধারা অনুযায়ী ড. রেজাউল করিমকে উপাচার্য হিসেবে চার বছর মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনে একজন সিনিয়র প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন এবং তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বজ্যেষ্ঠ শিক্ষক। তিনি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু দায়িত্ব পালন করেছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে অন্যতম হলো নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন হিসেবে দুই মেয়াদে নেতৃত্ব দেওয়া। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের পরিচালকের দায়িত্ব পালনসহ সিনেট, সিন্ডিকেট সদস্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হিসাবে তিনি বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। অতি সম্প্রতি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিন ও ডিসিপ্লিন প্রধানদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এর প্রেক্ষিতে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক হিসেবে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করেন।

প্রফেসর করিমের একাডেমিক যোগ্যতা উল্লেখযোগ্য এবং বিস্তৃত। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে পিএইচডি অর্জন করেছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং-এ মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন এবং কানাডার স্যার স্যান্ডফোর্ড ফ্লেমিং কলেজ থেকে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) বিষয়ে অ্যাডভান্সড মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর একাডেমিক পরিসরের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি লিডারশিপের উপর ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের বির্কবেক কলেজ থেকে ৬ মাসের সার্টিফিকেট কোর্স, যা তাঁকে সমাজ ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য আরো যোগ্য করেছে।

তাঁর পেশাগত অভিজ্ঞতা অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করেছেন। এছাড়াও, অষ্টম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। প্রফেসর করিম বিশ্বব্যাংকের কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে ইন্সটিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট গ্রান্ট স্পেশালিস্ট হিসেবেও পরামর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন, যা তাঁকে শিক্ষাখাতে আন্তর্জাতিক প্রকল্পে নেতৃত্বের দক্ষতা দিয়েছে।

গবেষণা ক্ষেত্রে, প্রফেসর করিম দেশের অন্যতম প্রথম বাংলা জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) বিষয়ক বইয়ের লেখক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে জিআইএস এর ওপর প্রথম একাডেমিক কোর্স ও ল্যাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা প্রণয়নে জিআইএস এর ব্যবহার এবং উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁর গবেষণা এবং প্রবন্ধ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল, কনফারেন্স এবং সেমিনারে প্রকাশিত হয়েছে, যা ৩০টিরও বেশি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জার্নালের সম্পাদকীয় পদেও তিনি কাজ করেছেন। এছাড়াও, ২০০৪ সালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সকল অংশিজনের সমন্বয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু শীর্ষক সেমিনার আয়োজন পূর্বক বই প্রকাশ করেন, যেখানে সর্বপ্রথম পদ্মা সেতুর বিভিন্ন স্থানিক বিশ্লেষণ করে পদ্মা সেতুর সম্ভাব্যতা তুলে ধরা হয়। এই বই এর ইংরেজি সংস্করণ তৎকালীন জাইকা এর প্রতিনিধিদের কাছে প্রদান করা হয় এবং পরবর্তীতে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের সামাজিক আন্দোলনে এই বই একটি জ্ঞানভিত্তিক ইনপুট হিসাবে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

প্রফেসর করিম আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এডুকেশনাল কোয়ালিটি এক্সপার্ট হিসেবে পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক রয়েল টাউন প্ল্যানিং ইনস্টিটিউট, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানার্সসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও, তিনি ডিএফআইডি, ইউনিসেফ, এবং এডিবিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!