একাধিক শিক্ষকদের কাছ থেকে যৌন হয়রানিসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, শিক্ষকরা অভিভাবকের মতো আচরণ করার কথা থাকলেও অনেকে বিকৃত আচরণ করছেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। যৌন নিপীড়ন থেকে শুরু করে পোশাক নিয়েও কটূক্তির করছেন তারা। ক্লাসে নারী শিক্ষার্থীদের ইঙ্গিত করে নানা মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট কোন পোশাক নির্ধারণ করা না থাকলেও বোরখা নিয়ে রয়েছে অনেক শিক্ষকের আপত্তি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটিতে এ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে ১০টি। শুরু হয়েছে তদন্ত। ইতোমধ্যে একজন অভিযুক্ত এক শিক্ষকের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসেছে কমিটি। বাকিসের সঙ্গেও ধাপে ধাপে বসবেন তারা।
যৌন নিপীড়ন নিরোধ বিষয়ক অভিযোগ কমিটি প্রধান দিল আরা হোসেন জানান, এতোদিন শিক্ষার্থীরা ভয়ে চুপ থাকলেও, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে অনেক শিক্ষার্থী এখন এসব বিষয়ে মুখ খুলছেন। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই।
এদিকে, অভিযুক্ত মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হকের দাবি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে লাঞ্ছিত করার জন্য এমন অভিযোগ তোলা হয়। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে ঘায়েল করতে চাইলে যৌন অভিযোগ তুললেই হলো। তবে তিনি মনে করেন এমন অভিযোগ তোলা হলে পরবর্তীতে প্রমাণ না হলে অভিযোগ কারীতে উল্টো শাস্তির মুখোমুখি করা উচিত।
আর বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাইন উদ্দিন বলছেন, গুরুত্বের সঙ্গে এসব বিষয়ে তদন্ত করছেন তারা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যৌন হয়রানি ও অ্যাকাডেমিক অনিয়মের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের এক শিক্ষককে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়ে। এছাড়া আরেক শিক্ষককে এসব কাজকর্ম না করার ব্যাপারে লিখিত বিবৃতি দিতে বলা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স স/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :