খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইংরেজি ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে ‘মুগ্ধ ওয়াটার কর্নার’ উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। রবিবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, "মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ আমাদের ছাত্র ও সন্তানতুল্য। তাঁর মতো আমাদের সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। তখন পৃথিবীতে থাকবে শুধু কৃতকর্মের চিহ্নগুলো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মুগ্ধ যেভাবে আন্দোলনরত পিপাসু শিক্ষার্থী-জনতাকে পানি সরবরাহ করতে করতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে স্মৃতি কখনও ভোলার মতো নয়। মৃত্যুর আগমুহূর্তে তাঁর বলা কথাগুলো ‘পানি লাগবে পানি’ মানুষের হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা যদি কাউকে সম্মান দেই, আমরাও সম্মানিত হবো, ভালো মানুষ হবো। নতুন প্রজন্মের স্বাধীনতা অর্জনে মুগ্ধ’র অবদান ও ভূমিকা অগ্রণী। মুগ্ধ’র স্মৃতি রক্ষার্থে এ পানি কর্নারটি করা হয়েছে। এজন্য আমি ইংরেজি ডিসিপ্লিনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। একই সাথে অন্যান্য ডিসিপ্লিনগুলোকে এ ধরনের কাজে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।"
অনুষ্ঠানে কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন এবং ইংরেজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, "আমাদের বীর আমাদের মুগ্ধকে আমরা হারিয়েছি। আমরা মুগ্ধর স্মৃতিকে চির অম্লান রাখান জন্য সবটা করবো। তার ফলশ্রুতিতে `মুগ্ধর ওয়াটার কর্নার` তৈরি করেছি। এই ওয়াটার কর্নারে প্রতিদিন তিন শতাধিক শিক্ষার্থী সুপেয় পানি পান করতে পারবে। খুবিতে এই ইংরেজি ডিসিপ্লিনই প্রথম মুগ্ধর স্মরণে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিলো। মুগ্ধ বেঁচে থাকবে তার কর্মে আর আমাদের প্রচেষ্টায়।"
পরে মীর মুগ্ধসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :