গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ নেতাকর্মীরা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, `গুচ্ছ একটি জটিল, অস্বচ্ছ এবং বৈষম্যমূলক পদ্ধতি। এ পদ্ধতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের স্বকীয়তা হারাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় নিজস্ব প্রশ্ন কাঠামোতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না বলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের যাচাইয়ের সুযোগ কমে যাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈচিত্র্য কমছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত প্রতিটি ব্যাচে সিট ফাঁকা থাকছে, যার হার পূর্ববর্তী যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।`
বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, `আমরা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গুচ্ছের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমগুলো অবনতির দিকে যাচ্ছে তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানও কমছে। এই দিকগুলো বিবেচনা করে আমাদের মনে হয়েছে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।`
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, `আমি ব্যক্তিগতভাবে শুরুতে গুচ্ছতে না থাকার বিষয়ে মতামত জানিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অন্তত এইবছর যেন গুচ্ছতেই থাকি। আমাদের আসলে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বে যাওয়ার সুযোগ নেই। এবছর অন্তত গুচ্ছেই থাকছি। তারপরও আমাদের উপাচার্যদের একটা মিটিং রয়েছে। আমি সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর কথা জানাব। তারপর ফাইনালি সিদ্ধান্ত নিতে পারব।`
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :