শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। গত রাতের হামলার ঘটনায় প্রশাসন কোনো তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়নি তা জানতে চাইলে প্রক্টরের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়।এক পর্যায়ে প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার রোববারের (১৫ ডিসেম্বর) মধ্যে অপরাধীদের খুঁজে বের করার আশ্বাস দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
প্রক্টরের বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হয়ে আরও ক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা।এ পর্যন্ত ছয়টি গুপ্ত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেলেও প্রশাসন কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাছান আহামেদ বলেন, গতরাতে দুইজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা হয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার শিক্ষার্থীদের ওপর গুপ্ত হামলা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
আরেক শিক্ষার্থী আল মাশনূন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি উত্থাপন করার পর আমাদেরকে ফ্যাসিস্ট ট্যাগ দেয়ার চেষ্টা করেন তারা। শুধুমাত্র লাইটিং করে আর সিসিটিভির দোহাই দিয়ে তারা দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকছেন।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ( ১২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর ওপর চবির নিরাপত্তা দফতরের সামনে হামলা করে মুখোশধারীরা। ঘটনা জানার পর বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।ঘটনার পর প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের অন্তত ৫০ বার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ করেন তারা।
এর একমাস আগেও ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলা হয়। কিন্তু প্রশাসন এখনো পর্যন্ত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়। বারবার আশ্বাস দেয়ার পরও প্রশাসনের এক্ষেত্রে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :