ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি প্রত্যাখান করে বিক্ষোভ করছে পদবঞ্চিতরা। এ সময় কমিটির সদস্যদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তারা।বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে কলেজের বিজয় চত্বরে জড়ো হতে থাকেন পদবঞ্চিতরা। বিক্ষোভ মিছিল করেন ক্যাম্পাস জুড়ে। পরে আধা ঘণ্টা ধরে ঢাকা কলেজের সামনের মিরপুর সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।এ সময় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরের কুশপুতুল দাহ করেন তারা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা এসব কর্মসূচি পালন করেন।কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা না করা পর্যন্ত বর্তমান কমিটি ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে পারবে না বলে জানান বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা।
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, আমি ঢাকা কলেজ ভর্তির পর থেকে ছাত্রদল করি। এ পর্যন্ত যত প্রোগ্রাম ছিল সব জায়গায় অংশগ্রহণ করেছি। ২০১৭ সালে যে কমিটি হয়েছিল সেখানে সদস্য ছিলাম এবং তার পরের কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত ২৮ অক্টোবরের পরে আমার জীবনবাজি রেখে রাজপথে ছিলাম। রাজপথে থাকার পরে দলীয় যে নির্দেশনা দিয়েছে সব যথাযথভাবে পালন করেছি। জলাই গণ অভ্যুত্থানে দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সাধারণ ছাত্রদের পাশে থেকে আমরা সায়েন্সল্যাব, জিগাতলা ও ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন চালিয়ে যাই।
তিনি আরও বলেন, দলের একটি খারাপ চক্র তারা দলের ভেতর দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার জন্য অনেক পাঁয়তারা করে এবং দেখা যাচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল একটা কমিটি হয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী ছাত্রলীগের একটি চক্র সক্রিয় ছিল। সেই চক্র ঢাকা কলেজের যে কমিটি হয়েছে, সেই কমিটিতে জায়গা পেয়েছে।
এ সময় ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তাজবি উল, সহ-সভাপতি আবির ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসানসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজের বাংলা বিভাগের (২০০৯-১০) সেশনের পিয়াল হাসান এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের (২০১২-১৩) সেশনের মো. মিল্লাদ হোসেনকে সদস্য সচিব করে ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :