ফেলে আসা বছরের হিসাব-নিকাশ কষেই নতুন বছরের সূচনা হয়। বছরজুড়ে আলোচনায় থাকা ঘটনা নিয়ে স্মৃতিচারণ হয়। বিদায়ী এই ২০২৪ সালে নানা ঘটনার জন্য দেশজুড়ে আলোচিত ছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। বছরের শুরুতে উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্ব, ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দিন ক্যাম্পাস বন্ধের ফলে সেশনজট, জুলাই অভ্যুত্থানে সর্বপ্রথম কুবি শিক্ষার্থীরা গুলিবিদ্ধ, পূর্বের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ, প্রশাসনে বিরাট রদবদল, ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ, দুই আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন, শহিদ আব্দুল কাইয়ুম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং গুচ্ছ থেকে বের হওয়াসহ নানা আলোচিত ঘটনায় পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্ব:
ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে উপাচার্য দপ্তরে গেলে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরাও সেখানে জড়ো হয়। পরিস্থিতির কয়েক ঘন্টা পর দপ্তর থেকে উপাচার্য বেরিয়ে গেলেও দুই দফা দাবি নিয়ে সেখানে অবস্থান করতে থাকে শিক্ষক সমিতির নেতারা। সেখান থেকেই শুরু হয় উপাচার্য এবং শিক্ষক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব। যা শেষ হয় উপাচার্যের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে।
শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিত:
গত ৬ মার্চ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরিক্ষা বাতিলের মাধ্যমে উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্ধ চরমে ওঠে। এ নিয়োগ পরিক্ষা অবৈধ দাবি করে শিক্ষক সমিতি উপাচার্যকে পরিক্ষা বন্ধের নির্দেশনা দেন। এমনকি প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বর রুমে উপাচার্যের সাথে শিক্ষক সমিতির নেতাদের কয়েক দফা তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে পরিক্ষাটি স্থগিত হয়। একই দিনে দুপুরের দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ফের উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উপাচার্যকে `ডাস্টবিন` সম্বোধন করে পদত্যাগ করতে বলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
সাবেক উপাচার্যের প্রয়াণ:
গত ১৪ মার্চ সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.আমির হোসেন খান।
দফায় দফায় শিক্ষক সমিতির ক্লাস বর্জন:
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ও ৬ মার্চের হট্টগোলের প্রেক্ষিতে সাত দফা দাবি জানিয়ে ১৩ মার্চ ও ১৪ মার্চ শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখে শিক্ষক সমিতি। সাত দফা দাবি পূরণ না হওয়ার ফলে ১৯ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ৯ দিনের ক্লাস বন্ধ রাখে শিক্ষক সমিতি। এরপর গত ৩ এপ্রিল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গৃহীত এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার ফলে ২১ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত আবারও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর অফিসে তালা:
শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত ২৫ এপ্রিল সাবেক উপাচার্য- কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এবং ওই তিন দপ্তর তালাবদ্ধ করে দেয় সংগঠনটি।
গাড়িসহ কোষাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ ও শিক্ষকদের বাকবিতণ্ডা:
গত ২৭ এপ্রিল সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানকে গাড়িসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সাড়ে ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষক সমিতি। এ সময় বাঁধা দেয় শিক্ষকদের আরেকটি পক্ষ। এতে করে শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এমনকি শিক্ষকদের একটি পক্ষ তালা সংস্কৃতি বন্ধ চান বলে মন্তব্য করেন।
ত্রীমুখী সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ:
গত ২৮ এপ্রিল সাবেক উপাচার্য আবদুল মঈন নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষক সমিতির বাধার সম্মুখীন হয় এবং এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মী ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে মারামারি ও উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের উপর চড়াও হন। এ সময় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শামিমুল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.জান্নাতুল ফেরদৌসসহ আরও চারজন শিক্ষক আহত হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। এরপর শিক্ষক সমিতি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ-প্রক্টরসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন এবং তাদের পদত্যাগ দাবি করে একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। হাতাহাতির ঘটনায় উপাচার্যপন্থি ও শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করেন।
উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন:
গত ৩০ এপ্রিল উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের ওপর হামলার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার ও পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষক সমিতি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা:
গত ৩০ এপ্রিল ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বের জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ডাস্টবিনের ওপর উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা:
গত ১০মে দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এবং গোল চত্ত্বর সংলগ্ন ডাস্টবিনের উপর উপাচার্যের দুইটি কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষক সমিতি। কুশপুত্তলিকা ঝুলানোকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষক সমিতিক্র তীব্র সমালোচনার মুখে পরতে হয়।
পেনসন স্কিমের ফলে কর্মবিরতি :
সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষকদের দ্বন্দ্বের জেরে টানা ৫৩ দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পর গত ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়টি খুলে। তবে এর এক সপ্তাহ পর গত ১ জুলাই থেকে পেনশন স্কিম বাতিলের কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
জুলাই অভ্যুত্থানে প্রথম রক্তাক্ত কুবি:
গত ১১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত কুবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী, ২ জন ক্যাম্পাস সাংবাদিক আহত হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সর্বপ্রথম কুবি শিক্ষার্থীরাই রক্তাক্ত হয়।
স্মরণকালের সেরা সেশনজটের শঙ্কা:
শিক্ষক-উপাচার্য দ্বন্দ্ব, ঈদের ছুটি, কোটা বাতিলের আন্দোলন ও বন্যা পরিস্থিতি মিলিয়ে প্রায় ১৫৬ দিনের মতো বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। ফলে শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চেপেছে দীর্ঘ সেশনজট। তাছাড়া এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়তে থাকে।
জুলাই অভ্যুত্থানে কুবির একমাত্র শহিদ আব্দুল কাইয়ুম:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা` কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর গত ৬ আগস্ট সাভারের এনাম হাসপাতালে মারা যান কুবির একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আবদুল কাইয়ুম।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ:
গত ৮ আগস্ট ১০০ তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ৪৩-এর (ঘ) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেন না বলে নীতিমালা থাকায় সিন্ডিকেটে নতুন এই সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ:
জুলাই আগস্ট বিপ্লবের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ১১ আগস্ট পদত্যাগ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এছাড়া গত ২৮ আগস্ট উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং ১০ আগস্ট পদত্যাগ করেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা।
উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ:
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অষ্টম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এবং প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। একইদিন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য পদে কুবি অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং ট্রেজারার পদে আরেক কুবি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
এম. ফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু:
গত ১৪ নভেম্বর ৮২তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবশেষে কুবিতে চালু হয় এম. ফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম। অর্থাৎ যে বিভাগগুলো পিএইচডি ও এম. ফিল প্রোগ্রাম চালু করতে চায় সে বিভাগগুলো নিজেদের সক্ষমতার বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করবে। সেই অনুযায়ী প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তির মতো এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এবং সে অনুযায়ী প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দুই আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন:
গত ২১ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১০১ তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে `বিজয় ২৪` হল এবং শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে `সুনীতি শান্তি` হল নামকরণ করা হয়। এছাড়া নতুন ক্যাম্পাসের ছাত্র হল-১ এর নামকরণ করা হয়েছে ‘শহীদ আব্দুল কাইয়ুম’ নামে।
শহিদ আব্দুল কাইয়ুম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট:
জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র শিক্ষার্থী আবদুল কাইয়ুমের স্মরণে গত ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু `শহিদ আবদুল কাইয়ুম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪`। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ, রানার্সআপ হয় লোক প্রশাসন বিভাগ এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।
আইসিপিসি এশিয়া প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ঢাকা অঞ্চলে চতুর্থ:
গত ৭ ডিসেম্বর সাভারের ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির শান্তিনোটা সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় (আইসিপিসি) এশিয়ার ঢাকা আঞ্চলিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে কুবির দল `CoU_LastRunForMemories`। এই দলটি সিএসসি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাকিব হোসেন, মো: রায়হান ইসলাম এবং একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান খান দ্বারা পরিচালিত ছিল।
গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরিক্ষা:
গত ১৫ ডিসেম্বর ৮৫ তম একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আসন্ন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :