খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এক অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়টির উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, স্বতন্ত্র একাডেমিক কাঠামো ও উদ্ভাবনের প্রতি প্রতিশ্রুতি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অনন্য করে তুলেছে।
খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড.মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমার সপ্ন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ইম্প্যাক্টফুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা।এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেখানেই থাকুক না কেন তারা যেন বিশ্ব দরবারে নিজেদেরকে তুলে ধরতে পারে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা বাস্তব-বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এমন গবেষণায় নিয়োজিত। খুবির উন্নত মানের গবেষনা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির নজর কাড়ে প্রতিনিয়ত, যা উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমবর্ধমান খ্যাতি প্রতিফলিত করে।
গবেষণার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতি আরও প্রমাণিত হয় নামী-দমী জার্নালে। এর অসংখ্য প্রকাশনা, আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ, বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে।
খুবির একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হল ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ তৈরি, যার লক্ষ্য ক্যাম্পাসে একটি টেকসই এবং পরিবেশ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতাকে উন্নীত করে না বরং এই অঞ্চলের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি রোল মডেল হিসেবে কাজ করে।
সাংস্কৃতিক চর্চা এবং অন্যান্য শিক্ষার্থী বান্ধব কার্যক্রম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস হিসাবে গড়ে তোলে। এখানে ছাত্রদের বিভিন্ন ক্লাবে এবং সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয় যা সাহিত্য, খেলাধুলা, বিতর্ক এবং প্রযুক্তিসহ সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক এবং শিল্পে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা প্রদর্শন করে।
এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় সারা বছর ধরে অসংখ্য সেমিনার, কর্মশালা এবং অতিথি বক্তৃতা আয়োজন করে, যা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রের দক্ষ মানুষের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ প্রদান করে। এই কার্যক্রমগুলি কেবল শিক্ষাগত অভিজ্ঞতাই বাড়ায় না বরং ছাত্রদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, নেতৃত্ব এবং দলগত দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, যেমন সম্পদের সীমাবদ্ধতা, অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তার তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে অনেক কিছু অর্জন করেছে।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য তার একাডেমিক এবং গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করা, বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব প্রসারিত করা এবং সমাজে তার অবদানগুলিকে উন্নত করা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি আশা এবং অগ্রগতির আলোকবর্তিকা হিসাবে রয়ে গেছে, যা ভবিষ্যত প্রজন্মকে জ্ঞান, উদ্ভাবন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :