বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখার নবীনবরণ, লেখা প্রদর্শনী এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার ২৩ (জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন উদ্বোধন করেন। যা আজ (২৪ জানুয়ারি) কর্মশালার মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বিদ্যুৎ ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগম অতিথি হিসেবে উপস্থিতিতে নবীন লেখকদের বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর লেখকদের লেখা প্রদর্শনী করা হয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম আলোচক হিসেবে এবং বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ সজীব প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত হয়ে প্রথম দিনের কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনেও লেখকদের লেখা প্রদর্শনী এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ মো.হারুন এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও তরুণ লেখক ফোরাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপদেষ্টা মুতাসিম বিল্লাহ।
এছাড়া, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান আলোচক হিসেবে এবং জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন (জেইউডিও) এর সাবেক সভাপতি, লেখক ও গবেষক জাকারিয়া পলাশ রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি, লেখক ফোরাম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক ও উপদেষ্টা সানজিদা ইয়াসমিন লিজা, প্রগতি বইঘরের কো ফাউন্ডার সাকিব মীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নাদিয়া আফরোজ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মাদ রাজীব।
অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, `সাংবাদিকের দায়িত্ব শুধু সাংবাদিকতা করা নয়, সমাজ সংস্কারক হিসেবে ভূমিকা রাখা অন্যতম দায়িত্ব। তোমরা যখন শিরোনাম লিখবে তখন এমন শিরোনাম লিখবে যেন শিরোনামের সাথে তোমার আলোচনার বিষয় ঠিক থাকে।`
তিনি আরও বলেন, `নিবন্ধ লেখার সময় আকর্ষণীয় বিষয় নিয়ে লেখতে হবে। তথ্য নেয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পাঠকের মানসিকতা বুঝতে হবে। পান্ডিত্যের ভাষায় লেখতে হবে। সাধু ও চলিত ভাষা একসাথে লেখা যাবে না। অতি কথন লেখা যাবে না। আঞ্চলিকতায় লেখা যাবে না। লেখায় প্রাণ থাকতে হবে। বাস্তব সম্মত বিষয় নিয়ে লিখতে হবে।`
অনুষ্ঠানের সভাপতি মোহাম্মদ রাজীব বলেন, `ফোরামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমাদের দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এই অনুষ্ঠান সফল করার পেছনে যাদের অবদান তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকবো। আলোচক, প্রশিক্ষক,সম্মানিত অতিথিবৃন্দ,কার্যনির্বাহী কমিটির সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব শিগগিরই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা লেখক সম্মেলনের আয়োজন করবে ইনশাআল্লাহ।`
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :