AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এক নজরে ১৯ বছরে পা রাখা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


Ekushey Sangbad
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
০৯:১০ পিএম, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
এক নজরে ১৯ বছরে পা রাখা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ শে জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালি মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে স্থাপিত হয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। যশোর শহরের ধর্মতলাস্থ ‍‍`বৃষ্টি মহল‍‍` নামের একটি ভবনে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।

২০০৯ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগ এবং ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের অধীনে ২০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়।

বলা হয়ে থাকে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে কুসংস্কারমুক্ত শিক্ষিত জাতি গঠনে সাহায্য করে। দেশকে উন্নয়নের বিকাশ চলমান রেখে উদ্ভূত সমস্যা লব্ধ ফলাফলের মাধ্যমে বিশ্বে মডেল হতে গবেষণার প্রয়োজনীয়তা ও ধারাবাহিকতায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অগ্রগতি অনস্বীকার্য। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার কর্তৃক স্কোপাস ডাটাবেজের সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। এছাড়াও যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) র‌্যাঙ্কিংয়ে যৌথভাবে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। 

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের অধীনে রয়েছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের পদচারণা। তাদের শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য রয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা।

বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আটটি অনুষদের অধীনে ছত্রিশটি বিভাগে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে ছয় হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক মিলিয়ে মোট ২৭২ জন শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে ১১৪ জন কর্মকর্তা এবং ৩১৭ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।

‌প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল, শিল্পাঞ্চল ও উৎপাদন প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ওপ্রকৌশল, পেট্রোলিয়াম ও খনন প্রকৌশল, কেমিকৌশল, বায়োমেডিকেল প্রকৌশল, টেক্সটাইল প্রকৌশল বিভাগ চালু রয়েছে। ‌জীব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে ফার্মেসি, অণুজীব বিজ্ঞান, ফিসারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ চালু রয়েছে। 

ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি, এগ্রোপ্রোডাক্ট এন্ড প্রসেসিং টেকনোলজি, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ চালু রয়েছে। ‌কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে চলমান রয়েছে ইংরেজি বিভাগ।

‌স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের অধীনে চলমান রয়েছে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান, ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলেটশন, নার্সিং ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগ। ‌বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে রসায়ন, গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ চলমান রয়েছে। ‌ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, ম্যানেজমেন্ট এবং মার্কেটিং বিভাগ চলমান রয়েছে। 

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শিক্ষা  কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য চারটি বহুতল ভবন রয়েছে।  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুষদ ভবন, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অনুষদ ভবন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত লাইব্রেরী কাম একাডেমিক ভবন এবং ডা. এম. আর খান মেডিকেল ভবন।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ৩ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল পর্যন্ত অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। ২০০৯ সালের ৯ এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল পর্যন্ত অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার এবং ২০১৭ সালের ২০ মে থেকে ২১ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। 

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. থেকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, গবেষণা ও ক্রীড়াক্ষেত্রে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!