ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে দিনব্যাপী ক্যারিয়ার ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার বিষয়ক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্যারিয়ার মেন্টর ও কর্পোরেট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ভিসি অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন লেখক ও ক্যারিয়ার কনসালটেন্ট বিসিএস ক্যাডার রবিউল আলম লুইপা, খায়রুলস বেসিক ও ব্যাংক ম্যাথের লেখক খায়রুল আলম, চাকরি প্রস্তুতি বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম `ক্যারিয়ার ম্যাপ`-এর সিইও মোহাম্মদ জাসিম উদ্দিন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াজিদুর রহমান, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লি. এর কুষ্টিয়ার রিজিওনাল হেড শাহ মো. আবু আলমগীর সিদ্দিকী, এইচ আর পারসেপশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী রুবেল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর শেখ মেহেদী হাসান। ক্লাবের সভাপতি রনি সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহিনুজ্জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অন্যান্যদের মাঝে ক্যারিয়ার ক্লাবের সহ-সভাপতি মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ ও সুকান্ত দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সামিহা খান চৌধুরী, কমিউনিকেশন লিড তাজনিয়া আহমেদ লাবণ্য ও রবিনসহ সংগঠনটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিলেন `Career Map` ও Knowledge Partner হিসেবে ছিল জনসচেতনতামূলক প্ল্যাটফর্ম `গণমত`।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর শেখ মেহেদী হাসান বলেন, স্বপ্নটা সবসময় বড় রাখতে হবে। স্বপ্ন পুরণ করতে কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা রাখতে হবে। চাকরির প্রস্তুতির শুরুটা কঠিণ হতে পারে কিন্তু দমে গেলে চলবে না। কি প্যাটার্নে প্রশ্ন আসে সেটা অ্যানালাইসিস করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। যে বিষয়ে ভালো সেই বিষয়ে আরও দক্ষ হতে হবে এবং যে বিষয়ে দুর্বলতা আছে সেই বিষয়গুলোতে বেশি জোর দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, ব্যর্থতা আসলেও হতাশ হওয়া যাবে না। লক্ষ্যকে পুরণ করতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কর্পোরেট সেক্টরে ভালো করতে হলে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের স্কিল ডেভেলপমেন্টেও জোর দিতে হবে। কর্পোরেট সেক্টরে ভালো করতে হলে পড়ালেখার বাইরেও কিছু কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে কমিউনিকেশন স্কিল ও উপস্থাপনা শৈলী ভালো হতে হবে, অ্যানালাইটিক্যাল অ্যাবিলিটি বৃদ্ধি করতে হবে এবং মানুৃষের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বিভিন্ন সেক্টরের পরিচিত মানুষের সঙ্গে যদি পরিচিত থাকে তবে জব সিকিংয়ের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হবে। যেকোন চ্যালেঞ্জ ফেস করলে ওপেনলি চিন্তা করা শিখতে হবে।
লেখক ও ক্যারিয়ার কনসালটেন্ট রবিউল আলম লুইপা বলেন, একাডেমিক পড়াশোনা ও চাকরির পড়াশোনার মধ্যে অনেক ফারাক। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে যখন চাকরির বাজারে যায়, তখন বুঝে চাকরির বাজার কত কঠিন। প্রাইভেট হোক বা সরকারি চাকুরি, যে সেক্টরে যেতে আগ্রহী সেই অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিক থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। আর এজন্য পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের দিকেও জোর দিতে হবে।
দিনব্যাপী ক্যারিয়ার বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :