দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করে শাখা ছাত্রদল। বেলা আড়াইটায় রবীন্দ্র-নজরুল একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একই দাবিতে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা। এসময় ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান তারা। এদিকে একই দাবিতে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে, বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, সদস্য রাফিজ আহমেদ ও নুর উদ্দিনসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একই দাবিতে বেলা আড়াইটায় রবীন্দ্র-নজরুল একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিয়া মোঃ রাসিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার অধিকারী, ড. লিটন বরণ সিকদার ও ড. প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস সহ বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেল ৩টার মানববন্ধনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবির সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন রাহাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাব্বির সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘যেখানে আমার বোন আছিয়া হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, যেখানে আসামি তাদের দোষ শিকার করে নিয়েছে, সেখানে ধর্ষণের বিচার করতে ১৮০ দিন কেন লাগবে? ধর্ষকের কোনো দলীয় পরিচয় নেই, তার একটাই পরিচয় সে অপরাধী। যদি ধর্ষণের বিচার না করা হয় এবং প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর না করা হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
মানববন্ধনে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, একটি ছোট্ট শিশুর ধর্ষণের ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য চরম লজ্জাজনক। বাংলাদেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণকারীরা বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে সারাদেশে ধর্ষণের মতো ভয়াবহ ঘটনা সিরিজ আকারে ঘটছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার কারণে মনে হচ্ছে দেশে কোনো সরকারই নেই। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ১৫দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে ৯০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :