জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অচেতন অবস্থায় ময়মনসিংহ বাইপাস এলাকায় ফেলে রেখে যাওয়ার অভিযোগে মধ্যরাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, সোমবার (১০ মার্চ) ময়মনসিংহগামী ইমাম বাসে ইফতারের খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করা হয় তাকে। এরপর তার সাথে থাকা ফোন ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। পরে ময়মনসিংহ বাইপাস এলাকায় তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নাইম ইসলাম রাহি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই ঘটনার সাথে ইমাম বাসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা প্রথমে ইমাম বাস আটকের জন্য গেলেও সকল ইমাম বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে ৫ দফা দাবি ঘোষণা করে। এসময় শিক্ষার্থী, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী। পরে শিক্ষার্থীরা দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেন।
দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে- মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার মধ্যে ময়মনসিংহ পরিবহন মালিক সমিতি, ইমাম বাস মালিক, অপরাধী বাসের ড্রাইভার, হেলপার, কন্ট্রাক্টরসহ হাজির করতে হবে। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুট বন্ধ ঘোষণা করা হবে। ভুক্তভোগীর সকল চিকিৎসা ব্যয় ইমাম বাস মালিকের নিতে হবে। অপরাধীদের যথাযথ আইনের আওতায় এনে আগামীকালের ভিতরে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ত্রিশাল থেকে সকল রুটে বাসের ভাড়া নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যে সমন্বয় করে নির্দিষ্ট করে দিতে হবে এবং ত্রিশালে সকল বাসের কাউন্টার দিতে হবে।
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকীউল বারী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ আমলে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ইমাম গাড়ির প্রতিনিধি, মালিক সমিতির প্রতিনিধি নিয়ে বিষয়টি সমাধান করতে আলোচনায় বসা হবে।
একুশে সংবাদ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :