বেশ কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষনের ঘটনা শোনা যাচ্ছে। ধর্ষকদের বিচারের দাবির আন্দোলনের পিছনে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলা এবং দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে গনজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকি আক্তারের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার, (১১ মার্চ) `ধর্ষন ও নিপিড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ`নামক একটি প্লাটফর্মের সদস্যরা গনপদযাত্রা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়ায় উক্ত প্লাটফর্মের সদস্যরা পুলিশের উপর হামলা করে এবং এই হামলার নেতৃত্ব দেন লাকি আক্তার বলে অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বাদী হয়ে ১২ জনের নামে মামলা করেছে।
উক্ত ঘটনার পরই দেশের বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করতে দেখা যায় ইনকিলাব মঞ্চ কে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৩ই মার্চ) ইনকিলাব মঞ্চ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক এক বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল টি ববির ৩নং গেইট থেকে শুরু করে ২ নং গেইট প্রদক্ষিণ করে আবার ৩নং গেইটে এসে শেষ করে।তারপর ৩নং গেইটের সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন করে ইনকিলাব মঞ্চ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরা।
উক্ত মানব বন্ধনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ইনকিলাব মঞ্চের অন্যতম প্রতিনিধি ইফতেখার সায়েম বলেন,"হাসিনা পালিয়ে গেলেও এর দোষরেরা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করতে সক্রিয়। এটা ২০১৩ নয়, আমরা শাপলা চত্বরের ঘটনা ভুলে যাই নি, সেই শাপলা চত্বরের গণহত্যার পিছনে অন্যতম দায়ী ছিলো এই গনজাগরণ মঞ্চ এবং এর সংগঠকগন। তিনি আরও বলেন, "অনতিবিলম্বে দেশদ্রোহী এই লাকি আক্তার কে গ্রেফতার করতে হবে এবং যারা ধর্ষনের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করবে সকল কে আইনের আওতায় আনতে হবে।"
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত লাকি আক্তার হলেন মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত বিএনপি নেতা শহিদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা শহিদ আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাইদি`র বিরুদ্ধে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :