ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি ও জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে বিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
বিগত ১৫ বছরের আওয়ামী শাসনামলে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির পৃষ্টপোষকতাকারীদের চিহ্নিতকরণে পাঁচ সদস্যের কমিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ ফারুকুজ্জামান খানকে আহবায়ক ও শরীর চর্চা ও শিক্ষা বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার মাছুদুল হক তালুকদারকে সদস্য-সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রশিদুজ্জামান ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী।
এদিকে জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিপ্লব বিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণে পাঁচ সদস্যদের কমিটিতে আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক ও বিএনসিসি অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান মজুমদারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী ও বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিম।
নিয়োগে দুর্নীতি তদন্ত কমিটিকে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে এবং জুলাই বিপ্লব বিরোধী ভুমিকা তদন্ত কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্যের কাছে রিপোর্ট পেশ করার জন্য বলা হয়েছে।
নিয়োগে দুর্নীতি তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, চিঠি হাতে পেয়েছি। আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। আর অনিয়মের তথ্য জমা দেওয়ার জন্য একটি নোটিশ করা হয়েছে। কারো যদি দুর্নীতির কোনো তথ্য দেওয়ার থাকে তার জন্য অনলাইন ও অফলাইনে জমা দেওয়ার আহ্বান থাকবে। সকলের সার্বিক সহযোগিতা কাম্য।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :