ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ১০টায় যবিপ্রবির শহীদ মসীয়ূর রহমান হল থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে মুনশী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ হল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা "ইসরায়েল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক", "From the river to the sea, Palestine will be free", "ফ্রি ফ্রি, ফিলিস্তিন", "নারায়ণ তাকবির, আল্লাহু আকবার" প্রভৃতি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন বলেন, যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা ইফতার করার সুযোগ পাচ্ছে না, খাবারের সংকটে না খেয়েই শিশুরা শহীদ হচ্ছে। এটি চরম মানবিক বিপর্যয়। নেতানিয়াহুর মতো নিকৃষ্ট নেতা এটাকে কেবল শুরু বলে ঘোষণা দিয়েছে, আর ট্রাম্প গাজা ফাঁকা করার কথা বলেছে।
এ অবস্থায় আমাদের ভয় জয় করে প্রতিবাদ করা জরুরি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা ইসরায়েলকে হয়তো উৎখাত করতে পারব না, কিন্তু তাদের চিন্তাধারা ও প্রভাবকে আমাদের মন থেকে মুছে ফেলতে হবে।
আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করা ও ঈমানের প্রমাণ রাখা এখন সময়ের দাবি। যার যার জায়গা থেকে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উচিত—অর্থনৈতিক, মানসিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সব দিক থেকে।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি হামলার আমরা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মানবতা আজ কোথায়? যারা হিউম্যান রাইটসের কথা বলে তারা আজ কোথায়? জাতিসংঘ আজ কোথায়? কেন তারা নীরব রয়েছে? আজকে যদি এই হামলা ওয়াশিংটন অথবা লন্ডনে হতো তাহলে কি তারা চুপ থাকতো? ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলায় কেন তারা আজ নিশ্চুপ? বিশ্বের মানবতার ফেরিওয়ালারা আজ কেন নিশ্চুপ? আরব বিশ্বের বড় বড় নেতারা কেন আজ নিশ্চুপ রয়েছেন?
একুশে সংবাদ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :