ফিলিস্তিনের গাজায় নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ড ও ভারতে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে এ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক এলাকা ঘুরে প্রশাসন ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। পরে সোয়া ২টায় ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার জামে মসজিদ থেকে স্থানীয় মুসল্লিরা আরেকটি বিক্ষোভ নিয়ে এসে ওই সমাবেশে মিলিত হয়।
কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াসিরুল কবির, গোলাম রব্বানী, ইসমাইল হোসেন রাহাত, ছাত্রশিবির ইবি শাখার সেক্রেটারি ইউসুব আলী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ,’ ‘দালালি না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘গাযাবাসীর কারণে, ভয় করি না মরণে’, ‘বদরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘বিশ্বের মুসলিম, এক হও লড়াই করো’, ‘ফিলিস্তিন দিচ্ছে ডাক, আরবরা জাগরে জাগ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সমাবেশে ছাত্রশিবিরের ইবি শাখার সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, ফিলিস্তিনে হামলার পর ফ্যাসিস্ট নেতানিয়াহু বলেছে এই হামলা কেবল শুরু। তবে আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলে দিতে চাই, এটা কেবল শুরু তবে হামলার নয় বরং তোমার পতনের শুরু। আপনাদের চেয়েও ফেরাউনের সাম্রাজ্য, নমরুদের সম্প্রদায় অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। তারা এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারেনি। আমরা বিশ্বমুসলিম এক হয়ে হুংকার দিলে এক মুহূর্তও টিকে থাকতে পারবা না। বিশ্বের মানচিত্র থেকে তোমাদের উৎখাত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।
সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘ সহ কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার সমাধানের উদ্দেশ্যে কোনো সহায়তা পাচ্ছে না। তেমনি বাংলাদেশেও একজন নেতাহিুয়ুর জন্ম হয়েছিল। যারা বিগত ১৬ বছরে শাপলা চত্বরে গণহত্যা থেকে শুরু করে সারাদেশে খুন, গুম, ধর্ষণ, লুটতরাজ থেকে সব অপকর্ম করেছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে। এই ইসলায়েল ও আওয়ামীলীগকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত। তাই ভারতের বিরুদ্ধে সবসময় আমাদের শক্ত অবস্থান থাকবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :