ফিলিস্তিনিদের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিন করে আবারও প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসীরাও যোগ দিলে প্রায় পাঁচ শতাধিক বিক্ষোভকারী এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
এসময় তারা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব দে’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও, লড়াই করো’, ‘একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে ছাত্রশিবিরের ইবি শাখার সেক্রেটারী ইউসুব আলী বলেন, গত রমজান থেকে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে উপেক্ষা করে গাজাবাসীর উপর বর্বরোচিত হামলা শুরু করেছিল। রাসুল (সা.) এর সময়েও হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করেছিল কাফের সম্প্রদায়। এভাবে তারা যখন যুক্তি ভঙ্গ করেছিল আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে তারা পৃথিবীর বুক থেকে মুছে গিয়েছিল। আমরা ইসরাইলিদের বলে দিতে চাই, যেহেতু তোমরা চুক্তি ভঙ্গ করেছো তোমরাও বেশি দিন পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে পারবে না। অতি শীঘ্রই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরাইলকে মুছে ফেলা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো ইসরাইলি পণ্য ব্যবহৃত হচ্ছে কিন্তু আমরা সচেতন হচ্ছি না। যারা ইসরাইলের পণ্য সরবরাহ করছে তাদেরকে আমরা সচেতন করে দিতে চাই। আমাদেরকেও সচেতন থাকতে হবে যেন আমরা ইসরাইলে পণ্য ব্যবহার না করি। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানাই, অতি শীঘ্রই পাসপোর্ট থেকে ইসরাইল ভ্রমণ নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলের সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দিতে হবে এবং ফিলিস্তিনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ফিলিস্তিনের উপর যে হামলা চলছে ইসরায়েলের একার পক্ষে এ হামলা চালানো সম্ভব নয়। ইসরায়েলের পৃষ্ঠপোষকতা করছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বৃটেন এবং ভারত। ইসরায়েলকে বয়কট করার পাশাপাশি এদেরকেও বয়কট করতে হবে। যদি আমরা শুধু বিক্ষোভ মিছিল নিয়েই পড়ে থাকি তাহলে আজ গাযার যে পরিস্থিতি হয়েছে কাল আমাদেরও সেই একই পরিস্থিতি হবে। তাই সারাবিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করার সময় এসে গেছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :