বাংলাদেশে লিচুর ‘গান্ধি পোকা’ এবং লাউয়ের ‘স্যাপ বিটল’ নামক ক্ষতিকর পোকামাকড়ের নতুন দুটি জাত শনাক্ত করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) বিজ্ঞানীরা। কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফুয়াদ মন্ডলের নেতৃত্বে পরিচালিত এক গবেষণায় এসব নতুন পোকার জাত শনাক্ত হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, লিচুর নতুন জাতের গান্ধি পোকাটি প্রচলিত গান্ধি পোকার তুলনায় আকারে বড় এবং বেশি ক্ষতিকর। এটি লিচুর কচি পাতা, কান্ড ও ফল থেকে রস শোষণ করে, যার ফলে কচি লিচুগুলো শুকিয়ে যায় এবং মাটিতে পড়ে যায়। মারাত্মক আক্রমণের ফলে লিচুর প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ফলন নষ্ট হতে পারে।
অন্যদিকে, লাউ ফসলে newly identified ‘স্যাপ বিটল’ দলবদ্ধভাবে লাউয়ের পুরুষ ফুলে আক্রমণ চালিয়ে ফুলের সব পরাগরেণু খেয়ে ফেলে। এর ফলে পরাগায়ণ ব্যাহত হয়, ফলন নষ্ট হয় এবং উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি ঘটে।
১০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর সচিবালয়ের কনফারেন্স রুমে উন্মোচন করা হয় নতুন এই দুটি পোকার পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক লিফলেট।
সিকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএই-এর ফিল্ড সার্ভিস উইংয়ের পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল এবং প্রশাসন, অর্থ ও সাপোর্ট সার্ভিসের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. কাজী মজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিকৃবির রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব ইকবাল, রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক কৃষিবিদ খসরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মো. সাইফুল আলম বলেন,
“গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত এসব নতুন তথ্য কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রযুক্তি সম্প্রসারণে বিশ্ববিদ্যালয়কে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে ডিএই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
অনুষ্ঠান শেষে সিকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম নতুন শনাক্ত হওয়া পোকার পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক লিফলেট ডিএই মহাপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করেন, যা পরবর্তীতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :