খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদ ও কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় ক্যাম্পাসের বটতলা প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত আন্দোলনকারীরা কুয়েট প্রশাসনের বিতর্কিত ভূমিকার সমালোচনা করে অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার, প্রকৃত দোষীদের শাস্তি, প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানান।
তারা জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। হামলার প্রকৃত তদন্ত শেষ না হতেই দুই মাস পর কুয়েট প্রশাসনের সহযোগিতায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিরীহ ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয় এবং গতকাল ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেটি সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত বলে অভিহিত করেছেন তারা। রাজনৈতিক স্বার্থে শিক্ষাঙ্গনের নিরীহ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের দমন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
প্রতিবাদ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, কুয়েটের উপাচার্য যে কাজটি করেছে বিগত ১৬ বছরের পতিত স্বৈরাচার আমলের উপাচার্যগুলোও সে কাজ করার সাহস করেনি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশের উপাচার্য হিসেবে তার যেভাবে ক্যাম্পাস পরিচালনা করার কথা ছিল কুয়েট উপাচার্য তার বিপরীতটা করেছে। তিনি সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ ঘটনার পরে কুয়েট উপাচার্য তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। নিজ অবস্থান থেকে তার অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ।
এছাড়া বর্তমান বাংলাদেশের অভিভাবকসহ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমরা কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। দ্রুত ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের পদক্ষেপ না এলে ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবো।
এর আগে, গতকাল রাতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম শুরু এবং সকল আবাসিক হল আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :