জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম এর সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ই এপ্রিল) উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত হয়।
দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও এখনও সেগুলোর বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশিত হয় বৈঠকে। বৈঠকে যেসব বিষয় উঠে আসে সেগুলো হলো:
১. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হল নির্মাণ: দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হল নির্মাণে আপাতত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের আরডিপি (Revised Development Project Proposal) আগামী সপ্তাহ কিংবা তার পরের সপ্তাহে অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। অনুমোদন পেলে সেনাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে কাজ শুরুর ঘোষণা দেওয়া হবে।
২. আবাসন ভাতা: আবাসন ভাতা বিষয়টি পূর্ববর্তী রিভাইসড বাজেটে প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং প্রক্রিয়া চলমান।
৩. জকসু নির্বাচন: জকসু নির্বাচনের জন্য প্রণীত খসড়া নিয়মাবলীর বাংলা অনুবাদ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। খসড়াটি প্রস্তুত হওয়ার পর তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা ইউজিসির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৪. সমাবর্তন আয়োজন:
পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে সমাবর্তন নিয়ে আলোচনা হবে। সম্ভাব্য সময় হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জানুয়ারি ধরা হয়েছে।
৫. আহত শিক্ষার্থীদের ফি মওকুফ: আহত শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে ফি মওকুফের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
তবে এসব আশ্বাস নতুন নয়। বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার্থীরা একই ধরনের প্রতিশ্রুতি শুনে অভ্যস্ত। বাস্তবায়নের দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে বিষয়টিকে “প্রশাসনের আশ্বাসের নাটক” বলেই উল্লেখ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরইমধ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ছাত্রদের একাংশ বলছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে প্রতিবারই আলোচনার চেয়ে আশ্বাসই বেশি শোনা যায়, কিন্তু বাস্তবে কিছুই চোখে পড়ে না।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :