জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্রয়োজন যৌথ উদ্যোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বভিত্তিক গবেষণা ও কার্যক্রম। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম এই মন্তব্য করেন “Cultures of Adaptation: Theories and Methodologies” শীর্ষক আট দিনব্যাপী সামার স্কুল ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, “খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডসের উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এই যৌথ আয়োজন দ্বিপাক্ষিক একাডেমিক সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একক প্রচেষ্টার চেয়ে যৌথ গবেষণা এবং জ্ঞানের বিনিময়ই জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় অধিক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় একটি জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি। এই সামার স্কুলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা ভবিষ্যতে ‘ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছি। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”
সামার স্কুলের আয়োজক ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মোঃ নাসিফ আহসান, উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ মল্লিক ও সহকারী অধ্যাপক ড. হ্যারিসন এছাম আও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সামার স্কুলে এক্সপার্ট হিসেবে যুক্ত থাকবেন উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান জিওগ্রাফি অ্যান্ড স্পেশিয়াল প্ল্যানিং বিভাগের প্রফেসর ড. অজয় বেইলি, সহকারী অধ্যাপক ড. ক্যাথেরিনা ওলসার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ জাকির হোসেন এবং ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক শাপলা সিংহ।
স্বাগত বক্তব্য এবং সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের পরিচালক ও সামার স্কুলের এক্সপার্ট প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান।
উল্লেখ্য, আট দিনব্যাপী এই সামার স্কুলে দেশি-বিদেশি গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন, যা জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যৎ নির্মাণে একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :