অবশেষে কুয়েট উপাচার্য অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু

তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদ এবং উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য ও উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্যে থেকে একজনকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে, যাতে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু থাকে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে ঘনীভূত হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। কুয়েট কর্তৃপক্ষ গত ১৪ এপ্রিল রাতে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে এবং ঘোষণা দেয় ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম ও ২ মে থেকে আবাসিক হল খুলবে।

তবে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পরদিন তারা হলগুলোর তালা ভেঙে প্রবেশ করেন এবং উপাচার্য অপসারণের একদফা দাবিতে আন্দোলন জোরদার করেন। এই আন্দোলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সংহতি প্রকাশ করেন।

এর আগে, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্ব ঘটে। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বর্তমানে কুয়েট প্রশাসন ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে এবং ৭টি আবাসিক হল খুলে দিয়েছে।

একুশে সংবাদ// আ.ট//এ.জে