AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পোষাপ্রাণির চিকিৎসা খাতে উন্নয়নের পথে চ্যালেঞ্জ ও উদ্যোগ



পোষাপ্রাণির চিকিৎসা খাতে উন্নয়নের পথে চ্যালেঞ্জ ও উদ্যোগ

প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস, যা প্রাণিস্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত পেশাজীবীদের সম্মান জানাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। এ বছরের প্রতিপাদ্য, "Animal Health Takes a Team" বা "প্রাণিস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজন একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা", মূলত দলগত প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরছে। এতে বোঝানো হয়েছে, প্রাণিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একজন চিকিৎসক একাই যথেষ্ট নন, বরং সম্মিলিত প্রচেষ্টাই গঠন করে একটি কার্যকর স্বাস্থ্যব্যবস্থা।

বাংলাদেশে কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, ম্যাকাওসহ বিভিন্ন পোষাপ্রাণির প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে ১.৭ মিলিয়ন কুকুরের মধ্যে ৩ লাখের বেশি পোষাপ্রাণি হিসেবে পালিত হয় এবং বিড়ালের সংখ্যা প্রায় ৪ মিলিয়নের কাছাকাছি। এ প্রেক্ষাপটে প্রায় ৩০০ আধুনিক পেট ক্লিনিক গড়ে উঠেছে, যেখানে নিবন্ধিত ভেটেরিনারিয়ানরা কাজ করছেন। তবে, চ্যালেঞ্জও রয়েছে বিস্তর।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের প্রধান এবং স্মল এনিমেল ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. কে.এইচ.এম. নাজমুল হুসাইন নাজির জানান, এই খাতের বড় সমস্যাগুলো হলো জনসচেতনতার অভাব, প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের ঘাটতি, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন ও ওষুধের অভাব এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির সীমাবদ্ধতা। পাশাপাশি, পশুকল্যাণ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নীতিমালার দুর্বলতাও অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করছে।

বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল (বিভিসি), বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন (বিভিএ), এবং বাংলাদেশ স্মল এনিমেল ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসভিএ) নিয়মিত সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।

অধ্যাপক নাজিরের মতে, পোষাপ্রাণির যত্নে শুধু চিকিৎসক নন, গ্রুমার, পুষ্টিবিদ, প্রশিক্ষক, আচরণ বিশেষজ্ঞ, ফার্মাসিস্ট, সরবরাহকারী, আশ্রয়কেন্দ্র ও দত্তক সংস্থাসমূহ—সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সবাই মিলে একটি সুসংগঠিত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন।

সরকার ইতোমধ্যে আধুনিক শিক্ষা, গবেষণা, ক্লিনিক আধুনিকায়ন, এবং ডিজিটাল সেবায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে ই-কমার্সভিত্তিক সরবরাহব্যবস্থা, জেনেটিক ব্রিডিং প্রোগ্রাম, ও বিশেষায়িত হাসপাতালের মাধ্যমে এই খাত আরও গতিশীল হবে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালগুলো পোষাপ্রাণিদের টিকাদান, অপারেশনসহ নানান সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দেশে একটি নতুন স্বাস্থ্য কাঠামো গড়ে উঠছে যা ভবিষ্যতে আরও সমন্বিত ও দক্ষ হতে পারে।

পরিশেষে অধ্যাপক নাজির বলেন, পোষাপ্রাণির কল্যাণে প্রয়োজন একটি মানবিক, দক্ষ ও একত্রিত দল, যারা সমাজে সহানুভূতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে।

 

 

একুশে সংবাদ//বাকৃবি.প্র//এ.জে
 

Shwapno

সর্বোচ্চ পঠিত - ক্যাম্পাস

Link copied!