পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার সি ইউনিটের (বাণিজ্য) পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যা দেখে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিয়ারিং ভবন, এম এ ওয়াজেদ আলী মিয়া বিজ্ঞান ভবন ও মহুয়া ভবনে ভর্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরুর পর পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান।
এবছর তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকদের ভোগান্তি ও কষ্ট লাঘব করতে
পাবিপ্রবি প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের শেডের নিচে বসার চেয়ার, ফ্যান, বিশুদ্ধ পানি, নাস্তা ও মেডিকেল সেবার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের জন্যও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রচণ্ড গরমে এসব মানবিক উদ্যোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের মানবিক ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপের প্রশংসা করছে উপস্থিত পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
নাটোর থেকে আসা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফাতেমা খাতুন বলেন, "ভোরবেলাতে বাসা থেকে রওনা দিয়ে পাবনা পৌঁছানোর পর অনেক ক্লান্ত লাগছিলো। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রচণ্ড গরমে ছায়া, ফ্যান আর বিশুদ্ধ পানির যে ব্যবস্থা করেছে তা আমাদের অনেক স্বস্তি দিয়েছে।"
নওগাঁ থেকে আসা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ সন্তানরা পরীক্ষার হলে থাকলে বাহিরে আমরা অনেক টেনশনে থাকি। এখানে বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা থাকাতে সময়টা আরামে কেটেছে। এমন আয়োজন দেশে অন্যত্র খুব একটা দেখা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।"
এ বিষয়ে পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল বলেন, "এখানে উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরাই বেশিরভাগ এসেছেন। তীব্র গরমে দূর দূরান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে বিশুদ্ধ খাবার পানি, বিস্কুট, বসার জায়গার, ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবার ব্যাবস্থা করেছি। পরবর্তী পরীক্ষাগুলোও সকলের সহযোগিতায় পেলে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারব।”
উল্লেখ্য,‘সি’ ইউনিটে পাবিপ্রবি কেন্দ্রে ১১৮১ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও অংশ নেয় ১১২৪ জন। যা মোট শিক্ষার্থীর ৯৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। এছাড়া গুচ্ছের বি ইউনিটের (মানবিক) পরীক্ষা আগামী ২ মে এবং এ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষা আগামী ৯ মে যথারীতি সকাল ১১ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। তবে স্থাপত্য বিভাগের আবেদনকারীদের পরীক্ষা ৯ মে বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
একুশে সংবাদ//পাবিপ্রবি.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :