AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

হামিম গ্রুপের জিএম খুন, ৪ আসামি গ্রেপ্তার


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০:৩০ এএম, ৩০ মার্চ, ২০২৫
হামিম গ্রুপের জিএম খুন, ৪ আসামি গ্রেপ্তার

হামিম গ্রুপের জিএমকে অপহরণপূর্বক হত্যায় জড়িত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। তাদেরকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

শনিবার (২৯ মার্চ) রাত পৌনে ১১টায় র‍্যাব-১ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) মেজর আহনাফ রাসিফ বিন হালিম বলেন, গত ২৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার পর অফিস থেকে বের হয়ে হামিম গ্রুপের জিএম মো. আহসানুল্লাহ নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার র‍্যাবের কাছে একটি অভিযোগ করেন। 

অভিযোগে জানানো হয়, মো. আহসানুল্লাহ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার ড্রাইভার সাইফুল সন্দেহজনক কথাবার্তা বলেন। ভুক্তভোগী পরিবার তাকে আটক করে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করার জন্য প্রস্তুতি নেয়। তবে ড্রাইভার সাইফুল ওয়াশরুমে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান। ওই দিন তিনি ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি গাইবান্ধায় চলে যান। 

পরে ২৫ মার্চ দুপুর ১২টার সময় জিএম আহসান উল্লাহর মরদেহ উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে উদ্ধার করা হয়। মরদেহ শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে র‍্যাব-১ এবং র‍্যাব-১৩ অপহরণ মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান চালায়। একইসঙ্গে ডিএমপি ঢাকার উত্তরা জোন মরদেহের সুরতহাল এবং আসামিদের বিভিন্ন আলামত সন্ধান করার প্রক্রিয়া শুরু করে। মরদেহ শনাক্তের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে র‍্যাব-১ এবং র‍্যাব-১৩ একটি দল আসামি সাইফুলকে গাইবান্ধা থেকে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি নূর নবীকে লালমনিরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে। 

তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তাদের সঙ্গে জড়িত তৃতীয় ব্যক্তি ইসরাফিল ওরফে ইমরান এবং সুজন ঘটনাস্থলে ছিল। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দির জন্য পুলিশের কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়। 

এদিকে, গ্রেপ্তারদের তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে  ইসরাফিল ওরফে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া, আজ রাত পৌনে ৯টার দিকে আসামি সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার তৃতীয় আসামি ইসরাফিল ওরফে ইমরানের ব্যাপারে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে এবং অন্য আসামি সুজনকে তুরাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

মেজর আহনাফ রাসিফ বিন হালিম বলেন, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রাথমিকভাবে ড্রাইভার সাইফুলকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং বাকি সবাই তার সহযোগী ছিল। তারা তুচ্ছ ঘটনা এবং লোভের পড়ে ঈদের আগে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য অপহরণ করে এবং জিএম আহসানুল্লাহকে নির্যাতন করে হত্যা করে। সার্বিক তদন্ত, রিমান্ড এবং ১৬৪ ধারার জবানবন্দি আলামতসহ আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপি উত্তরা জোন প্রদান করবে বলেও জানান তিনি।  

 

একুশে সংবাদ/ এস কে

 

Link copied!