এমপিও নীতিমালা সমূহ পুনঃবিবেচনা করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০মে) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোঃ দবিরুল ইসলাম বলেন, নন এমপিও প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ প্রায় দুই দশক বা তারও বেশী সময় বেতনহীন অবস্থায় থাকায় মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক কর্মচারীগনের ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবন ধ্বংসের দারপ্রান্তে।
এরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে একটি সুষ্ঠু ও যৌক্তিক নীতিমালার শর্তও তাদের জন্য পুরণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে নন-এমপিও কলেজের ২০২১ সালের এমপিও নীতিমালার শর্তাবলী পূরণ করে এমপিওভুক্ত হওয়া প্রায়
অসম্ভব। তাই এমপিও নীতিমালা পুনঃবিবেচনা করা একান্ত আবশ্যক।
তিনি বলেন, এখন নন এমপিও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুব বেশী নয়। আমরা নির্বাচনের বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আপনার যৌথ উপহার হিসেবে আমরা একযোগে অবশিষ্ট সকল নন এমপিও প্রতিষ্ঠান এমপিও চাই।
মানববন্ধনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত দাবি সমূহ পেশ করা হয়-
(১) এমপিও নীতিমালার শর্তাবলী শিথিল করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করতে হবে।
(২) প্রতিষ্ঠান এমপিও প্রক্রিয়া প্রতি বছর চলমান রাখতে হবে।
(৩) ফরম পূরণকৃত সকল শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করতে হবে।
(৪) স্বীকৃতির নাম্বার পুনঃবহাল করতে হবে।
(৫) শূণ্য নম্বর তুলে নিতে হবে।
(৬) ডিগ্রী কলেজের নীতিমালার শর্তাবলী পুনঃবিবেচনা করে আবেদনের আওতায় আনতে হবে।
(৭) সর্বশেষ তিন বছরের ফলাফল বিবেচনা করতে হবে।
এ সময় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু বক্কর, মোঃ এরশাদুল হক, অধ্যক্ষ মোঃ ইমরান বিন সোলায়মান, মোঃ ফরহাদ হোসেন বাবুল, অধ্যক্ষ মনিমুল হক, আব্দুল বারী তালুকদার, শরীফুজ্জামান আগা খান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষকগন।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :