বাজারে আবার বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। আগে থেকে মাছ ও মাংসের দাম ছিল বাড়তি। ঈদের আগে বাজারে এসে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, শনির আখড়া, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। বাজারে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ, করলা, বরবটি, ঝিঙা, কচুর লতিসহ সব ধরনের সবজি।
লাউ, করলা, বরবটি, ঝিঙা, কচুর লতিসহ সব ধরনের সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী। এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করলা। এক কেজি কচুর লতি কিনতে যাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ঝিঙার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ধুন্দলের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করল্লা। ঢ্যাঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
বাজারে এখন সবচেয়ে কম দামের সবজি পটল। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচা পেঁপেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি।
এদিকে, মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।
মাছের বাজারে দেখা গেছে, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাচকি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি। অপরদিকে, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কাজে বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা।
ভারত থেকে আমদানির পরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহের মতো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। রসুনও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা এক কেজি রসুন কিনতে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দিতে হচ্ছে। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা।
বাড়তে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। কেজি ছাড়িয়ে ২০০-এর ঘর। কিছুদিন আগেও যেখানে ১৫০-১৬০ টাকায় কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হতো, সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়। তবে হুট করে কাঁচা মরিচের দাম ডাবল সেঞ্চুরি করার পেছনে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় মরিচের খেত নষ্ট হয়েছে। আবার কিছুদিন পর ঈদ, পরিবহন চালকরা এখন গরু নিয়ে ব্যস্ত। এ কারণেও ঢাকায় মরিচ আসা কমেছে। সবকিছু মিলেই দাম বেড়ে গেছে।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :