ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মুরগি চুরির সালিসে ছুরিকাঘাতে মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ (১৯) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয়া এগারোটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতকে (ঢামেক) নিয়ে আসা তার বন্ধু হাসান জানান, আজ রাতে মুরগি চুরির বিষয় নিয়ে হাসনাবাদ আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে একটি সালিশি বসে। সালিশিতে তার এক বন্ধু নাজমুল (২০) তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে নাজমুল খিপ্ত হয়ে আরিফের বুকের মাঝে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা মোঃ জয়নাল আবেদিন বলেন, আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য আমি তাকে গাড়ির মেকানিকের কাজ শেখার জন্য গাড়ির ওয়ার্কশপে ভর্তি করেছি। রাতে আমার বড় ছেলে আমাকে মুঠো ফোনে জানায় আরিফকে কে বা কাহারা ছুরিকাঘাত করেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছে। আমি মেডিকেলে এসে আমার ছেলের মরদেহ দেখতে পাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার, নড়িয়া থানার, মনসুরগঞ্জ গ্রামে। বর্তমানে জুরাইন আলমবাগ এলাকার ঢাকা হোটেলের পাশে একটি ভাড়া বাসায় মা বাবার সাথে থাকতো।
ঢাকা মেডিকেলে নিহত আরিফকে বহনকরে নিয়ে আসা। ৫০-৬০ জনের একদল বখাটে এবং উশৃংখল কিশোর, ধারণা করা হচ্ছে এরা কিশোর গ্যং এর সদস্য। চিকিৎসক আরিফকে মৃত ঘোষণা কিছুক্ষণ পরেই তারা আনসার সদস্যকে ধাক্কা দিয়ে ক্যাজুলেটি বিভাগ থেকে আরিফের মারদেহ জোরপূর্বক পুলিশ ক্যাম্পের সামনে দিয়ে বীরদর্পে দিয়ে তারা বকাঝকা এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে মরদেহ নিয়ে যায়। এবং তারা চিপস চিনাবাদাম ওয়ালার ভান্ড থেকে চিপস, বাদাম, বুট রাস্তার উপর ফেলে দেয়, কয়েকজন হকার সহ রিকশা ওয়ালাদেরকে মারধর করে। ২০ থেকে ২৫ মিনিট এই তান্ডব চালায় কিশোর গ্যং এর সদস্যরা।
ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবা সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত কেরানীগঞ্জের যুবকের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে এসে পৌঁছায় নাই। তবে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :