রাজধানীর তুরাগে অভাব অনটনের কারণে আব্দুস সালাম (৩০) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তুরাগের তারার টেকের গুলজার মাস্টারের ভাড়া বাড়িতে সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। পরে খবর পেয়ে ঝুলন্ত মরদেহটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এই যুবক রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার মৃত মায়া মিয়ার ছেলে। তুরাগের তারারটেকের ওই বাড়িতে একাই ভাড়া থাকতেন। উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মেস ওয়েটার হিসেবে কাজ করতেন।
একই এলাকার বাসিন্দারা জানান, সালামের মরদেহ ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পরে খবর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি নিয়ে যায়। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন এমন ধারণা স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারারটেক থেকে সালাম নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই চিরকুটে লেখা ছিল—আমি অভাব অনটনে ভুগছিলাম। যার কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছি। আমার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয়। দয়া করে আমার মরদেহটি মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিবেন।’
সালামের নামে একটি টিকটক অ্যাকাউন্টে সাম্প্রতিক একটি পোস্টে লেখা রয়েছে, ‘পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। আমার মৃত্যুটাই শেষ সমাধান হল। সবাই মুক্তি পেল।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :