জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার আলোকে বাংলাদেশ সরকার প্রণীত নারীর শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, নারীরা সাইবার সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী আগ্রাসন এবং ধর্মীয় গোষ্ঠির অপপ্রচারের শিকার। এটা বন্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরী।
বুধবার (৮ নভেম্বর) রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত সচেতনতামূলক কর্মশালায় এ সব কথা বলেন তারা।
রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ও কমিউনিটি ফোরামের সহ-সভাপতি মেহেরুন্নেসার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তৃতা করেন বিএনপিএস’র পরিচালক শাহনাজ সুমী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, অ্যাডভোকেট কাকলি মৃধা, শিক শারমিন জাহান, বিএনপিএস’র সহ-সমন্বয়কারি সিঁথি ঘোষ, ঢাকা পশ্চিম কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন ও ঢাকা পূর্ব কেন্দ্রের উন্নয়ন কর্মকর্তা অনিকেত আচার্য।
আলোচনায় অংশ নিয়ে নারী নেত্রী শাহনাজ সুমী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীসমাজ বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার। এই বৈষম্য, সহিংসতা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির মূলে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যবাদ, জনমনে গণতন্ত্র সম্পর্কে একপেশে ধারণা ও চর্চা এবং নারীবিদ্বেষী প্রচার-প্রচারণা। যা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এসব মূল কারণগুলোতেই কাজ করা প্রয়োজন।
বক্তারা বলেন, নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ ১২টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয় ভিত্তিক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আওতায় বাজেটে বরাদ্দ দিতে হবে। এসডিজির আওতায় বরাদ্দ আনা যেতে পারে। এছাড়া সহিংসতার শিকার নারীর আইনি সহায়তাসহ অর্থনৈতিক স্বালম্বিতার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :