রাজধানী বাড্ডায় হোসেন মার্কেটের সামনে বন্ধুর লাঠির আঘাতে ও দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে ধাক্কা দেওয়ায় মো. সালমান খান ওরফে ফেরদৌস (১৭) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সালমান বাড্ডা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। ঢাকার নবাবগঞ্জের বলমন্তর চর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে। তিন ভাই এক বোনের মাঝে সে ছিল সবার ছোট। বর্তমানে পরিবার নিয়ে বাড্ডা এলাকায় ভাড়া থাকতো তারা।
আজ শনিবার দুপুর ৩টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক ) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক বিকেল পাঁচটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিক্ষার্থীর বড় ভাই শাকিল বলেন, `বাড্ডা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল সালমান। আজ বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল থেকে ওই স্কুলে ভলেন্টিয়ারের কাজ করছিল। দুপুরে বাসায় এসে ভাত খেয়ে আবার সে স্কুলের দিকে চলে যায়। এরপর তারা আসরের নামাজের পর শুনতে পায় তার ভাইকে কারা যেন মারপিট করে আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখেছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানায় আমার ভাই আর বেঁচে নেই।`
উক্ত ঘটনায় বাড্ডা থানায় অভিযুক্ত ওই কিশোর আটক আছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে কিশোর সালমানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :