রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে থার্টিফার্স্ট নাইটে মজিবর ঘাটে মুখে কেরশিন নিয়ে ম্যাচ জ্বালিয়ে ফু দেওয়ার সময় আগুন লেগে গিয়ে ৩ কিশোর দগ্ধ হয়েছিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো: সিয়াম(১৬ বছর) বয়সী সোমবার রাতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র(আই সি ইউ) তে মারা যায়। তার শরীরে ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে দগ্ধ সিয়াম নামে এক কিশোর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। রাতেই তার মরদেহ তার বাবা স্বপন ব্যাপারী নানির বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে দাফন করার জন্য নিয়ে যান।
এ ছাড়া দগ্ধ হয়েছিল মোহাম্মদ রাকিব হোসেন( ১৬ বছর), বয়সী মোহাম্মদ রায়হান হোসেন(১৬ বছর) বয়সী এরা দুজন জমজ ভাই, ও তাদের চাচাত ভাই মোহাম্মদ সিয়াম (১৬বছর) বয়সী সহ তিনজন দগ্ধ হয়েছে তারা সকলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তিনি জানান, রাতে কামরাঙ্গীরচর থেকে আগুনে দগ্ধ তিন কিশোর বার্নে এসেছে তাদের মধ্যে সিয়াম হোসেনের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক,বাকি দুজন সামান্য দগ্ধ হয়েছে তাদের কে বার্ন ইউনিটের আবজ্যার বেসনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাত সারে ১২ টার দিকে কামরাঙ্গীর চরের মজিবর ঘাট এলাকার একটি বাসার ছাদের উপর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে রাত দুইটার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিউটে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধদের শেখ হাসিনা বার্নে নিয়ে আসা সিয়ামের বাবা স্বপন ব্যাপারী জানান, সিয়াম একটি মোটরবাইক ওয়ার্কশপে কাজ করে। রাকিব ও রায়হান একটি কারখানায় কাজ করে। তাদের বাবার নাম দানিশ ব্যাপারী।
তিনি আরও বলেন, কামরাঙ্গীরচর মজিবর ঘাট ৫ নম্বর গলির একটি বাড়ির পাঁচতলার ছাদে তারা থার্টিফাস্ট নাইটে মুখে কেরাসিন নিয়ে ফু দিয়ে ম্যাচ মারলে রাকিবের সমস্ত শরীরে আগুন ধরে যায় এতে দুই ভাই সহ তিনজন দগ্ধ হয়। রাতে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :